বর্তমান সময়ে হার্ট ব্লকের মতো জটিল রোগে বৃদ্ধদের পাশাপাশি তরুণরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। হার্টকে সুস্থ রাখতে আসুন জেনে নিই, রোগটি থেকে প্রতিকারের উপায়।হার্ট অ্যাটাকের বেশিরভাগ কারণের মধ্যেই রয়েছে হার্ট ব্লক সমস্যাটি। শুরুতে এ সমস্যাকে গুরুত্ব না দিলে প্রাণ হারানোর মতো জটিলতা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকে বলছেন চিকিৎসকরা।
হার্ট ব্লক
চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হয়ে রক্তনালীর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পথকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ (ব্লক) করে দেয়াকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা হয় হার্টে ব্লক।
হার্ট ব্লকের লক্ষণ
জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান মুহম্মদ বাশার বলেন, হার্ট ব্লকের শুরুতে রোগী কোনো অসুবিধা টের না পেলেও রক্তনালী ৭০ ভাগ ব্লক হলে কিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে শরীরে। যেমন-
১. হৃদপিণ্ডে বেশি পরিমাণে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয়।
২। এ ব্যথা বাম হাতে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে।
৩। হাঁটার সময়, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয়, থামলে ব্যথা কমে যায়।
৪। বুকে জ্বালাপোড়া ও ধড়ফড় করে।
৫। গলা, কপাল ও মাথায় ঘাম হওয়া।
৬। খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগে।
৭। দম নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হয়।
হার্ট ব্লকের কারণ
হার্ট ব্লকের কারণ নিয়ে কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম শমশের আলী বলেন, জীবনযাপনে অনিয়ম হার্ট ব্লকের অন্যতম একটি কারণ। বাইরের খ্যাদ্যাভাসে অভ্যস্ত, খাবারে তেল চর্বির পরিমাণ বেশি, শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণেও বাড়ছে হার্ট ব্লকের সমস্যা।
প্রতিরোধের উপায়
হার্ট ব্লকের সমস্যা প্রতিরোধ করতে হলে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করুন। খাদ্যাভাসে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করেছেন তা শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে খরচ করুন। চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে বেছে নিন নুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনও ঝুঁকি তৈরি করে হার্ট ব্লকের। তাই হার্ট ব্লক সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সঠিক খাদ্যাভাসের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক ও পরিশ্রমী জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।